সরিষাবাড়ী মিডিয়া প্রেসক্লাব

সরিষাবাড়ী মিডিয়া প্রেসক্লাব
একটি অরাজনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন।

সাজানো ধর্ষণ মামলা থেকে খালাস পেলেন গোলাম মাসুদ...

 


নিজস্ব প্রতিবেদক

সাজানো ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা থেকে পিংনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মাসুদকে খালাস দিয়েছে আদালত।

গত ১৪/০২/২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

২০১৭ সালে ধর্ষণের অভিযোগে সরিষাবাড়ী
থানায় দায়ের হওয়া যার মামলা নং ২২ এর ৯(১) ধারার মামলাটি চার্জগঠনের পর শুনানী শেষে গত মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারিত ছিলো। গোলাম মাসুদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক না হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এবং আসামিপক্ষের জামিনদারের জামানতনামার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরিষাবাড়ীতে রাজনৈতিক গ্ৰুপিং এর শিকার হয়ে এবং পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরেই পিংনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মাসুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা,বৃত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলাটি দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ তার (সরিষাবাড়ী থানার মামলা নং-২২/১৭)। পরবর্তীতে মামলা নং ১৩০/১৭ জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রমের জন্য প্রেরিত হয়।

মামলাটির বাদী সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নে আর,এম পাড়া এলাকার মৃত শামেস উদ্দিনের ছেলে সানোয়ার হোসেন। সে পিংনা মোড় এলাকায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক এবং পাশাপাশি তিনি রাজনৈতিক ভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত । 

এছাড়া ওপর দিকে গোলাম মাসুদ পিংনা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন বলে জানা গেছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম মাসুদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ সাল আনুমানিক সকাল ৭ টার দিকে। আমি তখন এশরাকের নামাজের জন্য জায়নামাজ বিছিয়েছি এমন সময় আবু সাইদ বাবু আমাদের বাসায় ডুকে আমাকে বলে স্যার আমাদের বাসায় একটু আসেন, দরকার আছে। আমি বলি নামাজ শেষ করে আসতেছি এই বলতে বলতে বাহির গেট পর্যন্ত উনাকে আগাইয়া দেই। যখনই আমি গেট পর্যন্ত যাই তখনই সে আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাকিয়ে দেখি আরও ৩ জন লোক দাড়িয়ে আছে বাবুকে সহযোগিতা করার জন্য। বিষয়টা বেগতিক দেখে আমার ভাইকে ডাক দেই তখন তাহারা আমাকে রেখে চলে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই বিদ্যুতের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে আমি নাকি ধর্ষক। এবং ২/১ টা নিউজ আসতে থাকে আমাকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে আমাকে গালমন্দ করতে করতে একটি মিছিল চলে আসে। কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে ইজ্জত বাচাতে গৃহ ত্যাগ করি। সারাদিন একের পর এক মিছিল আসতে থাকে এবং আমার বাড়ীতে ঢিল ছুড়তে থাকে। বাড়ীতে শিশু ও বৃদ্ধ মা ভয়ে দ্বিগবিদ্বিগ ছুটতে থাকে।সন্ধ্যায় আমি (নিজ এলাকার বাহিরে) একটি চা স্টলে চা খাচ্ছিলাম এমন সময় ছানোয়ার হোসেন ও শাহিন এর নেতৃত্বে পিংনার কিছু লোক আমার মাহিন্দ্র ১১০ সিসি মটর সাইকেল, একটি ফোন ও নগদ ৩ হাজার টাকা সহ আমাকে অপহরণ করে পিংনা গরুর হাটে এনে পুলিশকে ফোন করে তাদের হাতে তুলে দেয়। এরপর গভীর রাতে পুলিশ ফাড়িতে গিয়ে মামলা করে। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যার হাতে মামলা ছিল তার সামনে আবু সাইদ বাবু আমাকে বললো আমরা এসব করতে চাইনি। পিংনার একজন বিশিষ্ট মেম্বারের নাম বলে এবং আরো বলে যে উনারা আমাদেরকে এসব করতে বাধ্য করেছে। আমরা যদি এসব না করি তাহলে আমাদের এলাকায় থাকতে দিবেনা। যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে তারাকান্দী ফাড়ির আই সি স্যারকে জিগাইতে পারেন। আই সি স্যার তখন মাথা ঝুকাইতে থাকেন।আমার কথা হলো আমি যদি অপরাধ করে থাকি তাহলে মামলা করলেই তো ওয়ারেন্ট হবে। এসব নাটকের কি দরকার ছিল বা উদ্দেশ্যই কি ছিলো?? যারা আমাকে অপহরণ করেছিল (জামিনের পর) তাদেরই একজন আমার বাড়ীতে গিয়ে আমাকে বলেছে *** মুরাদ গ্রুপ করতে কইছে কেডা?? মুরাদ গ্রুপ না করলে কিছুই হইতনা।পিংনার সবাই যেদিকে থাকে সেদিকেই থাকা উচিৎ ছিল তোমার...

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোঃ আব্দুস সালাম।

এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, ধর্ষনের অভিযোগের মামলাটি আদালতে সত্য নয় বলে প্রতিয়মান হয়েছে। আদালত বিচার বিশ্লেষণ করেই, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সানোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে জানা যায় নাশকতা মামলায় তিনি এখন জেল হাজতে আছেন তাই তার জবানবন্দী নেওয়া সম্ভব হয়নি...

No comments

Powered by Blogger.